![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgu29wvBuDCEy1G2th7w_d-3g__A-4ymFh_T2UmtH58AhHIMf8LPNrg2kMojfFRcCZ19KIpaeGWnUVfb2AXUp_aq-rlPRCxR7KXHKjQgqbo667EpZNwFronUagdBPdA9EX5Sq_MM3IjuPbp/s400/po0ooxr8tt1pk5n.jpg)
জাফর ইকবালের নতুন বই- আরো টুনটুনি ও আরো ছুট্টাচ্চু ২০১৫
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgu29wvBuDCEy1G2th7w_d-3g__A-4ymFh_T2UmtH58AhHIMf8LPNrg2kMojfFRcCZ19KIpaeGWnUVfb2AXUp_aq-rlPRCxR7KXHKjQgqbo667EpZNwFronUagdBPdA9EX5Sq_MM3IjuPbp/s400/po0ooxr8tt1pk5n.jpg)
তুমি যদি ইতিমধ্যে এই বইটি
পড়ে ফেলো এবং এবারে
ভালোভাবে সি শিখতে
চাও, তবে Herbert Schildt-এর
Teach Yourself C বইটি পড়তে
পারো। আবার Brian Kernighan
ও Dennis Ritchie-এর লেখা The
C Programming Language বইটিও
পড়তে পারো। লেখকদের
একজন, Dennis Ritchie, সি
ল্যাঙ্গুয়েজ ডিজাইন
করেছেন। আর কেউ যদি
তোমার কাছে জানতে চায়
শুরুতে সি শিখতে হলে কোন
ইংরেজি বইটি ভালো তবে
Stephen G. Kochan-এর
Programming in C বইটির কথা
বলে দেবে। এটি সি শেখার
জন্য চমৎকার ও সহজ একটি বই।
Schaums Outlines সিরিজের
Programming with C বইটিও
ভালো। বইতে প্রচুর উদাহরণ
আর অনুশীলনী আছে।
সি শেখার পরে তুমি সি
প্লাস প্লাস বা জাভা
শিখতে পারো। সি প্লাস
প্লাস শেখার জন্য ভালো বই
হচ্ছে Teach Yourself C++
(লেখক: Herbert Schildt) আর
জাভার জন্য Java How to
Program (লেখক: Paul Deitel and
Harvey Deitel)। তারপর অন্য
ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে গেলে
আর বই কেনার দরকার নেই।
ইন্টারনেটে প্রচুর
টিউটোরিয়াল আছে।
সেগুলো পড়ে শিখে
ফেলবে।
সি এবং পাইথনের জন্য
চমৎকার দুটি বই আছে
অনলাইনে -
http://learnpythonthehardway.org/
book/
http://c.learncodethehardway.org/
book/
তুমি যদি কম্পিউটার
বিজ্ঞানে পড়তে চাও,
কিংবা প্রোগ্রামিং
কন্টেস্টে ভালো করতে
চাও, তাহলে তোমার Discrete
Mathematics ভালো করে
শিখতে হবে। এর জন্য Kenneth
H. Rosen-এর Discrete Mathematics
বইটি খুব ভালো।
আগাগোড়া পড়ে ফেলবে।
সঙ্গে সঙ্গে অনুশীলনীর
সমস্যাগুলো সমাধানের
চেষ্টা করবে। Discrete
Mathematics শেখার পরে
শিখতে হবে অ্যালগরিদম।
অ্যালগরিদম শেখার শুরু আছে
কিন্তু শেষ নেই। আর শুরু করার
জন্য তোমরা পড়তে পারো
Introduction to Algorithms (লেখক:
Thomas H. Cormen, Charles E.
Leiserson, Ronald L. Rivest and
Clifford Stein) এটি
অ্যালগরিদমের মৌলিক
বিষয়গুলো শেখার জন্য আমার
দেখা সবচেয়ে ভালো বই।
প্রোগ্রামিং
প্রতিযোগিতার জন্য কিছু
লিংক:
http://projecteuler.net/
এখানে অনেক মজার সমস্যা
আছে যেগুলোর বেশিরভাগই
প্রোগ্রাম লিখে সমাধান
করতে হয়। এখানে প্রোগ্রাম
জমা দেওয়া লাগে না,
কেবল প্রোগ্রাম দিয়ে বের
করা উত্তরটা জমা দিতে হয়।
http://www.spoj.pl/ এখানেও
অনেক ভালো সমস্যা আছে।
সমাধান করে প্রোগ্রাম জমা
দিলে প্রোগ্রাম সঠিক
হয়েছে কি না তা জানা
যায়। এই ওয়েবসাইটের একটি
বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সি, সি
প্লাস প্লাস, জাভা, পার্ল,
পাইথন, রুবি, পিএইচপি
ইত্যাদি ব্যবহার করে
প্রোগ্রাম লেখা যায়।
http://uva.onlinejudge.org/ এই
সাইটে নিয়মিত অনলাইন
প্রোগ্রামিং
প্রতিযোগিতার আয়োজন
করা হয়। এ ছাড়াও
অনুশীলনের জন্য প্রচুর সমস্যা
দেওয়া আছে। নতুন
প্রোগ্রামারদের জন্য এটি
বেশ ভালো জায়গা।
http://ace.delos.com/usacogate
এটি যদিও আমেরিকার
ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড
ট্রেনিং প্রোগ্রাম, কিন্তু
সাইটে যেকোনো দেশের
প্রোগ্রামাররাই
রেজিস্ট্রেশন করে অনুশীলন
করতে পারে। তোমরা যারা
প্রোগ্রামিং
প্রতিযোগিতায় ভালো
করতে চাও, তাদের অবশ্যই
এখানে অনুশীলন করা উচিত।
http://www.topcoder.com/tc
এখানেও নিয়মিত অনলাইন
প্রোগ্রামিং
প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এখানে ভালো ফলাফল
করলে আবার টাকাও দেয়
(কী আনন্দ!)। এ ছাড়া এখানে
অনেক ভালো
টিউটোরিয়াল ও আর্টিকেল
আছে। এটি অভিজ্ঞ
প্রোগ্রামারদের জন্য বেশ
ভালো একটি সাইট।
http://codeforces.com এই
সাইটে নিয়মিত বিভিন্ন
ধরনের প্রোগ্রামিং
কন্টেস্ট হয়। অভিজ্ঞ
প্রোগ্রামারদের জন্য
ভালো।
http://www.codechef.com
এটিও প্রোগ্রামিং
প্রতিযোগিতার জন্য একটি
ভালো ওয়েবসাইট এবং
অভিজ্ঞ প্রোগ্রামারদের
জন্য।
http://ioinformatics.org
আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স
অলিম্পিয়াডের
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
http://cm.baylor.edu/
welcome.icpc এসিএম
আইসিপিসির অফিসিয়াল
ওয়েবসাইট।
প্রোগ্রামিং ছাড়াও
বিজ্ঞান ও গণিতের নানা
বিষয়ের জন্য এই ফোরামে
অংশগ্রহণ করতে পারো:
http://matholympiad.org.bd/
forum/ ।
বাংলা ভাষায়
প্রোগ্রামিং সংক্রান্ত
কোর্স অনলাইনে করার
ব্যবস্থা করছে দ্বিমিক
কম্পিউটিং স্কুল । সেখানে
প্রোগ্রামিংয়ে
হাতেখড়ি , ওয়েব কনসেপ্টস ও
ডিসক্রিট ম্যাথের উপর
কোর্স রয়েছে।
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
ওয়েবসাইট হচ্ছে
www.google.com । এটি আসলে
একটি সার্চ ইঞ্জিন। যখনই
কোন কিছু জানতে ইচ্ছা
করবে, google-এ সার্চ করলে
তুমি সেই বিষয়ের নানা
তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইটের
লিংক পেয়ে যাবে।
“কন আর্টিস্ট” নামটার সাথে
আমরা অনেকেই কম বেশী
পরিচিত। সোজা বাংলায়
বললে প্রতারক। হলিউডের
সিনেমা “Ocean Eleven”
কিংবা বলিউডের “ধুম”
দেখে কি কেও কখনো
চিন্তা করেছেন বাস্তবে এই
রকম ঘটনা ঘটেছে কিনা।
সম্ভবত কেও চিন্তাও করেননি
বাস্তব জীবনেও রয়েছেন এমন
কিছু মানুষ আর তাদের
কুকীর্তি সিনেমাকেও
ছাড়িয়ে যায়। আসুন পরিচিত
হয় “কন আর্টিস্ট” দের দুনিয়ার
কিছু রথী মহারথীদের সাথে।
শুরুতেই যার নাম আসবে তিনি
হলেন জর্জ ম্যাকগ্রেগর।
জাতিতে স্কটিশ এই লোকের
জন্ম ২৪ ডিসেম্বর ১৭৮৬। ১৬ বছর
বয়সেই যোগ দেন ব্রিটিশ
সেনাবাহিনীতে । দ্রুত
পদোন্নতি ও হয়। কিন্তু উচ্চপদস্ত
কিছু কর্মকর্তার সাথে
বিরোধে জড়িয়ে বেরিয়ে
আসেন সেনাবাহিনী
থেকে। ততদিনে সাউথ
আমেরিকার স্বাধীনতার
আন্দোলনের অনেক খবর জেনে
গেছেন। ইয়োরোপীয় দখলদার
থেকে মুক্তির জন্য লড়ছে
সাউথ আমেরিকানরা। তিনি
ও সুযোগের সন্ধানে পাড়ি
দিলেন সেখানে। তারপর
কখনো এই পক্ষ, কখনো ওই পক্ষের
হয়ে লড়াই করে, সাত ঘাটের
পানি খেয়ে ব্রিটেনে
ফিরে আসেন ১৮২০ সালে।
ফিরেই ঘোষণা করেন তিনি
এখন “পয়েস” নামক এক দেশের
মালিক যা তিনি পেয়েছেন
স্থানীয় এক রাজার থেকে।
প্রচুর সম্পদে পরিপূর্ণ এই
জায়গায় এখন প্রয়োজন শুদু
ইউরোপিয়ানদের বিনিয়োগ।
সেই সময় স্প্যানিশদের
আধিপত্যের কারনে সাউথ
আমেরিকায় ব্রিটিশ বনিকরা
বিশেষ সুবিধা করতে পারতো
না। সুতরাং তারা কেও এই
সুযোগ হাতছাড়া করতে
চাইলো না। জর্জ ম্যাকগ্রেগর
রীতিমতো “পয়েস” এর
দূতাবাস খুলে শেয়ার বেচা
শুরু করেন। এমনকি “পয়েস” এর
অবস্তান দেখাতে একটি ম্যাপ
ও তৈরি করেন। ২ বছরের ভিতর
২,০০,০০০ পাউন্ড জোগাড় করে
ফেলেন। পরবর্তীতে শেয়ার
এর লাভের বদলে তিনি
বিনিয়োগকারীদের “পয়েস”
এর জমি দিতে চান। শুরুতে
অনেকেই রাজি না হলেও
শেষ পর্যন্ত দুই জাহাজ ভর্তি
সেটেলাররা রওনা হয় “পয়েস”
এর উদ্দেশে। বুজতেই পারছেন
“পয়েস” নামক দেশের চিহ্ন ও
তারা খুজে পায়নি।
ইউরোপের অনেক দেশে এই
একি প্রতারনা করে
পরবর্তীতে ভেনেজুএলায়
পালিয়ে যান এবং
সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন।
দ্বিতীয় যার নাম আসবে
তিনি হলেন ভিক্তর লাস্তিগ।
হাঙ্গেরিয়ান এই ভদ্রলোক
বিখ্যাত তার বিভিন্ন স্কিম
এর জন্য। তিনি এমন কি
শিকাগোর গডফাদার আল
কাপন কেও বোকা
বানিয়েছেন। তবে তিনি
বিখ্যাত হয়েছেন কারন
তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি
পারিসের আইফেল টাওয়ার
বিক্রি করেছেন। তাও একবার
নয়, দুই দুইবার। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের
পরে প্যারিস তখন ঘুরে
দাঁড়িয়েছে। নতুন নতুন
স্তাপনা তৈরি হচ্ছে। কন
আর্টিস্টদের জন্য সেটা ছিল
সুসময়। লাস্তিগ ভুয়া সরকারি
পরিচয়পত্র দেখিয়ে কিছু
লোহার ব্যবসায়ীর সাথে
মীটিং করলেন। তাদের
জানালেন সরকার আইফেল
টাওয়ার বিক্রি করবে কারন
তা শহরের অন্যান্য স্থাপনার
সাথে মিলে না। শুরুতে
আসলেই পরিকল্পনা ছিল
আইফেল টাওয়ার সরিয়ে
ফেলা হবে। লাস্তিগ সেই
পরিকল্পনার সুযোগটাই
নিলেন। দুইজন ব্যবসায়ী রাজি
ও হয়ে গেলেন। লাস্তিগ
তাদের বিক্রির খবরটা গোপন
রাখতে বললেন চুক্তি না
হওয়া পর্যন্ত। এমনকি তাদের
ঘুরিয়ে আনলেন লিমজিনে
করে। চুক্তি শেষ হওয়ার পর
বুজতেই পারছেন টাকা নিয়ে
চম্পট দেন লাস্তিগ। দুই
ব্যবসায়ীর কেও আর পরে
লজ্জায় পুলিসের কাছে
অভিযোগ করতে যায়নি।
আমেরিকান কন আর্টিস্টদের
ভিতরে সম্ভবত সব চেয়ে
বেশী বিখ্যাত জর্জ সি
পার্কার। তার জন্ম ১৮৭০
সালে। তিনি বিক্রি করতেন
নিউইয়র্ক এর বিভিন্ন স্তাপনা।
তবে সবচেয়ে বেশী বিক্রি
করেছেন ব্রুকলিন ব্রিজ। আর
তার প্রিয় শিকার ছিল সেই
সময় আমেরিকায় নতুন আসা
অভিবাসীরা। তার
ক্রেতারা ব্রুকলিন ব্রিজে
টোল তোলার জন্য প্রায়
ব্যারিকেড দিতেন। পুলিস
আসার পর তারা বুজতে
পারতেন একজন কন আর্টিস্ট এর
শিকারে পরিনত হয়েছেন
তারা।
শেষ যার নামটি বলবো তিনি
হচ্ছেন মিথিলেশ কুমার
শ্রীবাস্তব যার জন্ম আমাদের
পাশের দেশ ভারতে। কন
আর্টিস্টদের মাঝে এই
লোককে একজন লিজেন্ড
হিসেবে মানা হয়। তিনি
সবচেয়ে বেশী পরিচিত
“নাটওয়ারলাল” নামে। এই
লোক তার পুরো জীবনে
বিক্রি করেছেন তাজ মহল,
লাল কেল্লা, রাষ্ট্রপতি ভবন,
এমন কি ইন্ডিয়ান পার্লামেন্ট
ভবন। সোজা কথায় ইন্দিয়ার
ঐতিহাসিক এবং সরকারি
গুরুত্বপূর্ণ স্তাপনা গুলো তিনি
বিক্রি করেছেন এমন কিছু
বিদেশীর কাছে যারা
ইন্ডিয়া সম্পরকে কিছুই
জানতো না। তাদের
অজ্ঞানতার সুযোগ নিতে ও
দেরি করেন নি এই কন
আর্টিস্ট। চিন্তা করুন এক
বিদেশী কোটিপতি লাখ
লাখ ডলার খরচ করে যখন
ইন্ডিয়ান পার্লামেন্ট কিনে
নিজের বাসা মনে করে
খুশিতে বাক বাকুম হয়ে
ভিতরে ঢুকতে যাবে তখন কি
হবে!