১। Google Adsense : আপনার YouTube ভিডিওটি আপলোড করার পর পরই আপনি চাইলে আপনার আপনার ভিডিওটি গুগল বিজ্ঞাপনের জন্য এনাবেল করতে পারেন। এজন্য আপনার YouTube একাউন্টটিকে আপনার AdSense একাউণ্টের সাথে কানেক্ট করতে হবে। ভাল কথা, AdSense একাউন্ট না থাকলে একটি একাউন্ট খুলে নিতে হবে আর YouTube এ Monetization অপশনটি এনাবেল করতে হবে। আর নতুন ইউটিউব একাউন্ট হলে মনিটাইজেশন অপশনটি পেতে হয়তো একটু অপেক্ষা করতে হবে। এরপর আপনি যেই ভিডিও আপলোড করেন না কেন, সেটি হতে হবে সম্পুর্ন আপনার নিজস্ব কাজ। এমনকি মিউজিকটাও। পুরো ভিডিওতে ২ সেকেন্ড এর জন্যও যদি অন্য কারো কাজ থাকে তাহলে কপিরাইট নোটিশ পাবেন আর আপনার চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
২। Partner Network: আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যদি ১০০০+ সাবস্ক্রাইবার থেকে থাকে তাহলে আপনি ইউটিউব পার্টনার নেটওয়ার্কে জয়েন করতে পারেন। এদের কাজ হলো আপনার ভিডিওতে আর ভাল মাত্রার বিজ্ঞাপন দেয়া এবং আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপনকে নিয়ন্ত্রণ করা। এরা আপনাকে YouTube থেকে বেশী রেভিনিউ দিবে এবং তার ৩০% নিজেরা রেখে দিবে। Paypal বা ব্যাঙ্ক একাউন্টের মাধ্যমে আপনাকে প্রতিমাসে আপনার রেভিনিউ পাঠিয়ে দিবে। গুগল এডসেন্স শুধু ব্যাঙ্ক একাউন্টের মাধ্যমেই টাকা পাঠাবে এবং নুন্যতম ১০০ ডলার না হলে পাঠাবেনা। এড সেন্সে কোন পেপাল অপশন নেই।
৩। স্পন্সরশিপঃ YouTube দিয়ে টাকা উপার্জন করার একটি অন্যতম এবং সলিড মাধ্যম হলো স্পন্সরশিপ। আপনি যদি ভাল ভিডিও বানান এবং নিয়মিত আপলোড করেন, তাহলে অনায়াসেই আপনি নানা প্রতিষ্ঠান থেকে স্পন্সরশীপ পেতে পারেন। আপনার ভিউ কাউন্টের উপর ভেদ করে এই স্পন্সর মানি কম বেশী হবে। প্রতিটি ভিডিওর জন্য নুন্যতম ৫০ ডলার থেকে এমনকি ১০০০ ডলার বা তারও বেশী আয় করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলে নুন্যতম ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে। যদি আপনার YouTube চ্যানেলে নুন্যতম ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থেকে থাকে তাহলে আপনি Grapevine এর সাথে কানেক্টের হতে পারেন। এরা বেশ ভালই স্পন্সর করে এবং এদের স্পন্সরশীপ প্রোগ্রামটিও ভাল। সাবস্ক্রাইবার কম হলেও এরা অনেক সময় আপনার এপ্লিকেশন একসেপট করে। যদি এদের স্পন্সরশীপ প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হয়ে আয় করতে চান তাহলে নীচের লিঙ্কে যেতে পারেন। Grapevine – http://grapevinelogic.com/ মনে রাখবেন, মানুষের উপকারে আসে বা মানুষ উপভোগ করবে এমন ভিডিও আপনাকে বানাতে হবে। উল্টোপাল্টা ভিডিও বা আরেকজনের কাজ আপলোড করে দিলে এসব কাজ করবে না। আর যদি আপনি উঠে পড়ে লাগেন, তাহলে এক বছর নিয়মিত ভিডিও আপলোড করার পর YouTube হয়ে যেতে পারে আপনার প্রধান আয়ের মাধ্যম। এবং প্রতিমাসে ১০০০ ডলার থেকে ১০০০০ ডলার এমনকি আরও বেশী রোজগার করতে পারেন। ব্যাপারটা ডিপেন্ড করবে আপনার ভিডিওর সংখ্যা এবং কোয়ালিটির উপরে। যখন আপনি একটি বা অনেকগুলো বড় বড় চ্যানেলের মালিক বনে যাবেন, তখন নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান নিজে থেকেই আপনার সাথে যোগাযোগ করবে আপনাকে স্পন্সরশীপ দেয়াড় জন্য। সুতারাং লেগে থাকুন। বিশ্বময় এই প্রতিযোগিতায় আমরা বাংলাদেশীরাও উঠে পড়ে লাগি। কাড়ন টিভি মিডিয়া বেশীদিন হয়তো থাকবে না। সেখানে দখল করে নিবে নানা অনলাইন বেইজড মিডিয়া। মনে রাখবেন, ইউটিউবে আপনার ভিউয়াররা সবাই আন্তর্জাতিক। অনেক বড় আপনার ক্ষেত্র। আশা করি পোস্টটি কাজে আসবে। ভাল থাকুন।